https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০১ মে - অভ্যাসগত কারণে দোকানের ইফতারি পলিথিনের ব্যাগে দেয়ার সময় মুখের লালা দিয়ে খুলে দেয়া হচ্ছে। এতে খুব দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ভেস্তে যেতে পারে শারীরিক ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলের শিষ্টাচার। এ দিকে গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁগুলোতে ইফতার সামগ্রী বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। বুধবার রাজধানীর একাধিক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিএমপির অনুমতি পেয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট ও রেস্তোরাঁ ইফতারি বিক্রয় করছে। ইফতারি বিক্রয়তে শারীরিক দুরুত্ব মানলেও পুরো প্রক্রিয়ায় বিষয়টি অস্বাস্থ্যকর। হাতে গ্লাবস পরে খাবার সরবরাহ করলেও সেই হাত দিয়ে আবার অন্যান্য জিনিস নাড়ছে। খাবার কিনতে এসে ঘুরে যাওয়া এক ক্রেতা বলেন, ইফতারির জন্য খাবার কিনতে এসেছিলাম। এখানে এসে যা দেখলাম তাতে খাবার ক্রয় করার আর সাহস হল না। এখানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যে পদ্ধতিতে ইফতারি বিক্রয় করা দরকার তা মানা হচ্ছে না। এখানে এক ইফতারি বিক্রেতা তাড়াতাড়ি পলেথিনের ব্যাগ খুলতে গিয়ে মুখের লালা লাগিয়ে খুলার পরে পলেথিনে ইফতার ভরে দিচ্ছেন। এটাকে তো নিরাপদ বলা যায় না। এ সব চিত্র দেখে ভয়ে আমি নিজে থেকেই চলে যাচ্ছি। তবে বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, এখানে নিয়ম মেনেই ইফতারি বিক্রয় করছি। করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে তার জন্য সতর্ক আছি। এর আগে সোমবার ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আবু আশরাফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট ও রেস্তোরাঁগুলো মঙ্গলবার থেকে ইফতারি প্রস্তুত করে বিক্রয় করতে পারবেন। তবে কেউ ফুটপাতে কোনো ধরণের ইফতারির পসরা বসিয়ে বিক্রয় করতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, নগরবাসী প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট ও রেঁস্তোরা থেকে ইফতারি ক্রয় করতে পারবেন। তবে রেস্টুরেন্ট ও রেঁস্তোরায় বসে কেউ ইফতারি করতে পারেন না। তবে ইফতারি বিক্রেতা এবং ক্রেতা সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেছে ডিএমপি। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল এন এইচ, ০১ মে
https://ift.tt/3bToTHt
0 Comments