যে ১০ ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন

https://ift.tt/eA8V8J
ফেরেশতারা আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি। তাঁরা নিষ্পাপ ও পূত-পবিত্র। তাঁরা সর্বদা আল্লাহর তাসবিহ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। তাঁদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া করার বিষয়টি কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। এমন কিছু আমল আছে, যেগুলোর মাধ্যমে ফেরেশতাদের দোয়া পাওয়া যায়। সেসব আমল থেকে ১০ আমল (সবগুলো নয়) এখানে উল্লেখ করা হলো ১. অজু করে ঘুমানো : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অজু করে রাতযাপন করেন তাঁর শিয়রে একজন ফেরেশতা রাতযাপন করেন। তিনি যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হন (কোনো কোনো বর্ণনা মতে, যতবার ঘুমের ভেতর নড়াচড়া করেন) তখন ওই ফেরেশতা বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! অমুককে মাফ করে দিন। কেননা তিনি পবিত্র অবস্থায় রাতযাপন করেছেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১০৫১) ২. মসজিদে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করা : বারা বিন আজেব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯৮৭ ৩. কাতারের ডান দিকে নামাজ পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ সেসব মানুষের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করেন, যারা কাতারের ডান পাশে সালাত আদায় করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৭৮) ৪. কাতারের মাঝখানে খালি জায়গা পূরণ করা : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করেন, যারা কাতারের সঙ্গে মিলিত হয়ে সালাত আদায় করে। আর যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে, আল্লাহ এর কারণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯৮৫) ৫. দ্বিনি জ্ঞান শেখানো : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করেন, যারা মানুষকে কল্যাণকর বিষয় (দ্বিনি জ্ঞান) শেখায়। এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও সাগরের মাছ তাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬০৯) ৬. রোজার জন্য সাহরি খাওয়া : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সাহরি খাওয়া বরকতের বিষয়। তোমরা তা পরিত্যাগ কোরো না। এমনকি এক ঢোক পানি পান করে হলেও (সাহরি খাও)। কারণ যারা সাহরি খায় আল্লাহ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১১৮৭) ৭. রোগীর সেবা-যত্ন করা : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোনো মুসলিম যদি অন্য কোনো মুসলিম রোগীর সেবা-যত্ন করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার কাছে ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করেন। এসব ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। সে ব্যক্তি দিনের যেকোনো সময় রোগীর পরিচর্যা করে, সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করে। অনুরূপ যে ব্যক্তি রাতের যেকোনো সময় রোগীর পরিচর্যা করে, সকাল পর্যন্ত তারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। (মুসতাদরাক হাকেম, ইবনে হিব্বান ও সহিহ তারগিব ওয়াত তারহিব : ৩/১৯৭) ৮. রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়া : আবদুল্লাহ বিন আমের বিন রাবিয়া তাঁর পিতা (আমের) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আমি রাসুল (সা.)-কে মিম্বারে বক্তব্য দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পেশ করবে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করবে। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে যতক্ষণ সে দরুদ পেশ করতে থাকে। সুতরাং কম হোক বেশি হোকযার ইচ্ছা সে দরুদ পড়তে পারে। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৭৪৪) ৯. মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করা : রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখন নিযুক্ত ফেরেশতা বলে, আমিন। অর্থাৎ হে আল্লাহ! কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ (তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে আল্লাহ তোমাকেও তা দান করুন)। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৮) আরও পড়ুন-যে দোয়ায় মুমিন পাবে উভয় জাহানের কল্যাণ ১০. প্রতিদিন দান করা : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, প্রতি সকালে মানুষ যখন ঘুম থেকে ওঠে দুজন ফেরেশতা আসেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! খরচকারীর ধন আরো বাড়িয়ে দিন। আর দ্বিতীয়জন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন। (মুসলিম, হাদিস : ২২২৬) মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আডি/ ২৯ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/3ibWkYe

Post a Comment

0 Comments