এবার সৌদি বাদশাহবরখাস্ত করলেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদেরকে

https://ift.tt/eA8V8J
রিয়াদ, ০১ সেপ্টেম্বর- সৌদি বাদশাহ সালমান দেশটির ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। তাদের মধ্যে রাজপরিবারের দুই সদস্যও রয়েছেন। এমবিএস নামে পরিচিত বর্তমান বাদশাহর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা গ্রহণের বাধাগুলো দূর করতেই শীর্ষস্থানীয় এসব কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। রাজকীয় আদেশে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুর্কিকে অব্যাহতি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। প্রিন্স ফাহাদের ছেলে আবদুলাজিজ বিন ফাহাদকেও ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুইজনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে ওই রাজকীয় আদেশে বলা হয়েছে। সরকারের ভেতর কথিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করছেন বাদশাহর ছেলে যুবরাজ এমবিএস। তাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণকে সংহত করাই তার কথিত এসব অভিযানের লক্ষ্য। এর আগে এই বছরের শুরুর দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে, বাদশাহর ছোটভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুলাজিজ ও সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফসহ রাজপরিবারের তিন জন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে। ওই সময়ে যখন রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়। পরে অধিকাংশই বাদশাহ ও তার ছেলের আনুগত্যের শর্তে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পান। নিজেদের মুক্তির বিনিময়ে সে সময় সরকারি তহবিলে ১০৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল তাদের। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৩৫ বছরের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে বেশ কিছু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার আনার ঘোষণা দেন। তার ওই ঘোষণা পশ্চিমা দুনিয়ায় বেশ সমাদৃত হয়। আরও পড়ুন- মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করে তুলতেই সুইডেনে কুরআনের অবমাননা করা হয়েছে: ওআইসি এর পাশাপাশি বেশ কিছু স্ক্যান্ডালেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোজির হত্যাকাণ্ড এবং কানাডায় সাবেক একজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার কথিত অভিযোগ। ইয়েমেনে অব্যাহত যুদ্ধের জন্যও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে। যেখানে অপেক্ষাকৃত অজনপ্রিয় একটি পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে রিয়াদ। এমবিএস-এর মেয়াদেই ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু করে সৌদি আরব। সূত্র: বিবিসি এমএ/ ০১ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/3lDrDOk

Post a Comment

0 Comments