ড্রেসিংরুমে তখন মিথ্যাচার হয়েছে : মাশরাফি

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২৯ মে - ক্রিকেটারদের আন্দোলনে তিনি কেন ছিলেন না? ইচ্ছে করে নয়, আসলে তাকে ঐ আন্দোলনে ডাকাই হয়নি। কোন খবরও দেয়া হয়নি। খুব কৌশলে তাকে পাশ কাটিয়ে বোর্ডের কাছে ক্রিকেটারদের প্রথমে ১১ পরে আরও ২টি বাড়িয়ে মোট ১৩ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। অনেক দেরিতে হলেও এ কঠিন সত্য প্রকাশ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুধবার রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে এসে এ কঠিন সত্য প্রকাশের পর, আরও বড় বোমা ফাটিয়েছেন মাশরাফি। জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটারদের আন্দোলনের সময় তাকে নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে। জুনিয়র ক্রিকেটারদের কাছে তার ভূমিকা সম্পর্কে ভুল ও মিথ্যে ব্যাখা দেয়ার মত অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেছে। লাইভ আড্ডায় আন্দোলনে তাকে না ডাকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি একপর্যায়ে আবেগতাড়িৎ হয়ে বলেই ফেলেছেন, আমাকে নিয়ে ড্রেসিংরুমে মিথ্যাচার হয়েছে। সেটা কেমন? মাশরাফির ব্যাখ্যা, এমনও বলা হয়েছে, মাশরাফি এখন সরকারি দলের এমপি, তাই সে আন্দালনে আসবে না। মাশরাফি বিস্ময়ের সুরে বলেন, এটা কি ঠিক হয়েছিল? ওটা তো আর কোন রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না, ঐ আন্দোলন তো আর সরকার বিরোধী আন্দোলন ছিল না। সরাসরি না হলেও আকার ইঙ্গিতে কমবেশি সবার ব্যাপারে আক্ষেপ করেছেন। তামিমের কথাও বলেছেন। কেউ কেউ যখন জানতে চেয়েছে যে, মাশরাফি ভাই কই? তখন বলা হয়েছে উনি বাড়ি গেছেন, মানে নড়াইল গেছেন। তা কেন? ওভাবে না উপস্থাপন না করে বলে দেয়া যেত, মাশরাফি ভাইকে আমরা আন্দোলনে রাখতে চাচ্ছি না। মাশরাফি মনে করেন, ওসব করে ও ওভাবে বলে আসলে তাকে জুুনিয়র ক্রিকেটরদের কাছে হেয় করা হয়েছে। যা মোটেই কাঙ্খিত ছিল না, জুনিয়র প্লেয়ারদের কাছে আমাকে ছোট করার কোন প্রয়োজন ছিল না। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, তাকে বাইরে রেখে আন্দোলন করা হলেও, তিনি ঠিকই ঐ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম রয়েছেন। তিনি বলেন, ক্রিকেটার কারও সঙ্গে কথা না হলেও, আমার ফেসবুক পেইজে ঐ দাবিকে ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত অভিহিত করে স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি লিখেছিলাম, প্লেয়ারদের ঐ ১১ দফা দাবির সঙ্গে আমি একমত। এরপর মাশরাফি জানান, তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের আন্দোলন শুরুর আগে ও পরে তামিমের কথা হয়েছে। সে প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেন, তামিম স্টেটমেন্ট দিয়েছিল যে, সে আমাকে কল দিয়েছিল, কিন্তু আমাকে পায়নি। কিন্তু প্রথমত তার কয়েকদিন আগেই তামিমের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। সে হোয়াটঅ্যাপে বলছিল, চট্টগ্রামে একটি খেলা আছে, আমি খেলবো কি না? আমি প্রথমে হ্যাঁ করে পরে বলেছি না যাব না। পরে একপর্যায়ে বলছি যাব। তামিম বলেছে, টাকাটা আপনার বাসায় পৌঁছে দেব। বিচ ক্রিকেট বোধ হয়। ঐ সময় মাশরাফির বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তা জানিয়ে বলেন, আব্বা তখন হাসপাতালে ভর্তি। বেশ অসুস্থ। প্রথমে যশোর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে ঢাকায় অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঐ রাতে তামিম ফোন দিয়েছিল। তখন আমি আর তা ধরতে পারিনি। আমি ভাবলাম হয়তো বিচ ক্রিকেটে খেলার টাকার বিষয়ে কথা বলবে। আমি ভাবলাম আচ্ছা এ নিয়ে পরে কথা বলা যাবে। তার ভেতরে এই ঘটনা ঘটল। মাশরাফি খুব আবেগতাড়িৎ হয়ে এক পর্যায়ে বুঝিয়ে দেন, তাকে আন্দোলনে পেতে চাইলেই নেয়া যেত। পিতা হাসপাতালে অসুস্থ থাকলেও তাকে খবর দেয়া এবং অতবড় প্লেয়ার্স ম্যুভমেন্টের অংশ হবার আহ্বান জানান যেত। তাই তো এক পর্যায়ে সঞ্চালক নোমান মোহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া, দেশের ক্রিকেটের এমন কোন ঘটনা আছে যেখানে আমি ছিলাম না বা আমাকে ডেকে ও খুঁজে পাওয়া যায়নি? যেখানেই আমি থেকেছি, জঙ্গলে থাকলেও আমাকে খুঁজে বের করা হয়েছে। ঢাকায় আমার বাসার পাশে অনেক ক্রিকেটার থাকে। অগণিত ক্রিকেটারের বসবাস আমার খুব কাছে। আচ্ছা তাও বাদ দিলাম। আমার ফ্রেন্ড বাবলুর সঙ্গে আমার ক্রিকেটার ভাইদের ভাল পরিচয়। আমাকে না পেলে বাবলুকে বলে দিকেই পারত। তাহলেই আমি জেনে যেতাম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৯ মে
https://ift.tt/36GYpXV

Post a Comment

0 Comments