সীমিত আকারে চালু হওয়া লঞ্চ যাত্রীতে টইটম্বুর

https://ift.tt/eA8V8J
বরিশাল, ০১ জুন - করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সীমিত আকারে চালু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে প্রথম দিনই বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চে ওঠার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা থাকলেও ভেতরে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। লঞ্চের ডেকে একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজনকে ঘেঁষে বসে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকেই মাস্ক পরেননি। যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে বিকেল ৫টার পর থেকে লঞ্চমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। দলে দলে মানুষ আসতে থাকে লঞ্চঘাটে। সন্ধ্যার পর ঘাটে নোঙর করে থাকা তিনটি লঞ্চ যাত্রীতে টইটম্বুর হয়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য বিকেল থেকে লঞ্চঘাটে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ থানা-পুলিশের সদস্যরা কিছুক্ষণ পরপর মাইকে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লঞ্চে উঠতে অনুরোধ করেছেন তারা। তবে যাত্রীদের সেদিকে কোনো খেয়াল ছিল না। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, চাপ বেশি থাকায় কিছু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি লঞ্চঘাটে যারা প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাফেরা করেছেন তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। রোববার লঞ্চ অনুপাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশি। যাত্রী চাপ সামলাতে আগামীতে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো যায় কি-না সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, লঞ্চে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চমালিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবাণুনাশক টানেল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জীবাণুনাশক দ্রব্য ছিটানো হয়েছে লঞ্চে। আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, বরিশাল নদীবন্দর থেকে রোববার রাত সোয়া ৮টার মধ্যে সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও অ্যাডভেঞ্জার ৯ ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। প্রায় দুই মাস লঞ্চ বন্ধ থাকায় রোববার যাত্রীদের চাপ ছিল বেশি। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহন নিশ্চিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে পারে সেজন্য নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে রাত সোয়া ৮টার দিকে লঞ্চগুলোকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ জুন
https://ift.tt/2TWjEQl

Post a Comment

0 Comments