https://ift.tt/eA8V8J
দুবাই, ২৭ মে- প্রায়ই বলাবলি করা হয়, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দখল অনেক বেশি। যার ছোটখাটো প্রমাণও পাওয়া গেছে অনেক সময়। তবে স্বার্থে আঘাত লাগলে তখন আর এক থাকে না এ দুই সংগঠন। যার সবশেষ উদাহরণ মিলল এবার। আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতের মাটিতে। কিন্তু আইসিসির দেয়া শর্ত পূরণ করতে না পারলে, এ টুর্নামেন্টের আয়োজক অন্য দেশকে করার হুমকি দিয়ে রাখা হয়েছে। বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব নিজেদের কাছেই রাখতে আইসিসিকে নিজ দেশের সরকারের কাছ থেকে কর অব্যাহতি নিয়ে দিতে হবে বিসিসিআই। কর অব্যাহতি না থাকায় ভারতে যেকোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয় আইসিসির। এই যেমন ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির আসর বসেছিল ভারতের মাটিতে। সেবার প্রায় ৩ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি) আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল আইসিসি। যার ফলে পরবর্তীতে যেকোন আসর আয়োজনের আগে কর অব্যাহতির নিশ্চয়তার কথা জানিয়েছিল আইসিসি। আরও একবার সেটি মনে করিয়ে দেয়া হলো এবার। ভারতীয় বোর্ডকে সাফ জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্বা তাদের কাছ থেকে সরিয়ে অন্য কোন দেশকে দেয়ার এখতিয়ার রাখে আইসিসি। তাই যত দ্রুত সম্ভব কর অব্যাহতির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে বিসিসিআইকে। গত দুই মাস ধরে এ বিষয়ে মেইল চালাচালি হয়েছে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানানোর শেষ সময় দেয়া হয়েছিল ১৮ মে। কিন্তু বিসিসিআই চেয়েছিল ৩০ জুন পর্যন্ত সময়। তা দিতে অপারগতা জানিয়েছে আইসিসি। ফলে এখন একপ্রকার অচলাবস্থারই সৃষ্টি হয়েছে বলা চলে। যার সমাধান না হলে হয়তো বদলেও যেতে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। শুধু তাই নয়, দূর ভাবনায় রয়েছে ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপও। সেই আসরেও কর অব্যাহতি না পেলে আইসিসির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮ হাজার কোটি টাকা। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৬ মে
https://ift.tt/2XsD68g
0 Comments