https://ift.tt/eA8V8J
২০১৭ সালের ঘটনা। নেইমার তখন সবেমাত্র বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন। শোনা যায়, সেই সময়টায় স্বদেশি, বন্ধু ফিলিপ কৌতিনহোকেও নিজের ক্লাবে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কৌতিনহোকে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন নেইমার; কিন্তু তখন লিভারপুলে থাকা কৌতিনহোর চোখে আরেক স্বপ্ন, বার্সেলোনায় যাবেন, খেলবেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। কথাবার্তা হচ্ছিল। ২০১৮ সালে বার্সা ঠিকই কিনে নেয় কৌতিনহোকে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলেন, বলেছিলেন- বার্সেলোনায় আসতে পারাটা তার জন্য স্বপ্নের মতো। স্বপ্নের সেই ক্লাবে স্বপ্নময় দিন কাটেনি কৌতিনহোর। পরের বছরই (২০১৯) ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে পাঠিয়ে দেয় বার্সা। ধারের সেই চুক্তি বাকি আছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে জার্মান ক্লাব থেকে কৌতিনহোর আবার স্পেনে ফেরা অনিশ্চিত। বার্সেলোনা চাইছে, মৌসুম শেষে এই মিডফিল্ডারকে যেন ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডে রেখে দেয় বায়ার্ন; কিন্তু বায়ার্নের এখন সে পরিকল্পনাই নেই। ফলে নতুন মৌসুমে নতুন ঘর খুঁজে বের করতে হবে কৌতিনহোকে। তবে কাজটা সহজ নয়। বেশিরভাগ ক্লাবই ব্রাজিলিয়ান তারকার এতটা ব্যয়ভার বহন করতে রাজি নয়। এখন তাকে কিনতে হলেও কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো খরচ হবে। ধারে নিলেও পড়বে প্রায় সাড়ে ৭ মিলিয়ন পাউন্ড (বায়ার্ন মিউনিখ যেভাবে নিয়েছে)। এমন অবস্থায় নেইমারের সেই তিন বছর আগের প্রস্তাবের কথা মনে পড়তেই পারে কৌতিনহোর। গত তিন বছরে তার ভাগ্য অনেকটাই বদলে গেছে, নেইমার আছেন আগের জায়গা সেই পিএসজিতেই। সামনের মৌসুমেও নেইমারের পিএসজিতে থাকার জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর যে কয়টা ক্লাব কৌতিনহোর ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম, তার মধ্যে একটি এই পিএসজি। এখন তাই নেইমারের চেষ্টা আলোর মুখ দেখতে পারে। বিশেষ করে সামনের মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি ছেড়ে যাবেন বলে জোর গুঞ্জন। সেটা হলে বন্ধু কৌতিনহোকে নিজের ক্লাবে নিয়ে আসা খুব একটা কঠিন হবে না নেইমারের জন্য। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ এপ্রিল
0 Comments