https://ift.tt/eA8V8J
জয়পুর, ২৭ এপ্রিল - কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অবস্থানরত মাঝবয়সী এক ভারতীয় নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে দেশটির মরু অঞ্চলীয় প্রদেশ রাজস্থানে। লকডাউনের মধ্যে বাড়ির পথে রওয়ানা দেওয়া ওই নারী পুলিশের সহযোগিতায় এক স্কুল ঘরে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু সেখানেই তিন ব্যক্তির কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। ভারতজুড়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। এতে করে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে গিয়ে কাজ করা দিনমজুরেরা পড়েছেন বিপদে। এরকম দিনমজুর ছিলেন ওই নারী। হঠাৎ দেশ লকডাউন ও কাজ বন্ধ হওয়ায় তিনি হেঁটে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন। কিন্ত মাইলের পর মাইল না খেয়ে হেঁটে পথ পাড়ি দেওয়ার পর বিপদে পড়ে পুলিশের সাহায্য চান। ভারতীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশি কয়েকদিন হাঁটার পর চলতি পথে এক থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য চান ওই নারী। তবে আশেপাশে কোনো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার না থাকায় থানার পাশের একটি স্কুলে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখে পুলিশ। ওইদিন রাতে সেখানেই স্থানীয় তিন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজস্থানের সাওয়াই মধুপুর জেলার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসপি) এবং ওই ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থ শর্মা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত ২৩ এপ্রিল স্কুল ওই ঘরের ভেতর যে তিন স্থানীয় ব্যক্তি ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এএসপি পার্থ শর্মা আরও বলেন, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানতে ওই নারীকে স্থানীয় একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা যেহেতু আমরা জানি না তাই পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনো পরীক্ষার ফল হাতে আসেনি। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাড়ির উদ্দেশে বেশ কিছুদিন হাঁটার পর থানায় আশ্রয় চাওয়া ওই নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এক জুনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩ মে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ এপ্রিল
https://ift.tt/2VGlEh2
0 Comments