https://ift.tt/eA8V8J
চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা ২ লাখের বেশি। আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে ৮ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। করোনাভাইরাসে গত এক সপ্তাহে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ দুই সপ্তাহে মোট ১ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে মহামারি এ ভাইরাসটি। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৮২২ জনের। আর মোট ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা আসে চীন থেকে। মার্চ মাসের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে একদিনে মৃত্যু এক হাজার ছাড়ায়। কিন্তু এখন গড়ে দিনে তা ৭ হাজারের বেশি। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এপ্রিলে করোনার মহামারি রুপ দেখতে শুরু করে বিশ্ববাসী। মোট ২ লাখ মৃত্যুর মধ্যে এপ্রিলের ২৫ দিনে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। গত ২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো একদিনে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ১০ এপ্রিল একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। গত ১১ জানুয়ারি প্রথম মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছে ৮২ দিন। কিন্তু এরপর ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় মাত্র ৮ দিনে। আর মৃতের সংখ্যা ১ লাখ থেকে দেড় লাখ ছাড়াতে সময় লাগে মাত্র সাত দিন। এরপর আরও সাতদিনে মৃতের সংখ্যাটা এখন ২ লাখের বেশি হলো। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইউরোপ ও আমেরিকার মানুষ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ১০ লাখ। আর করোনায় যে ২ লাখ মানুষ মারা গেছে তার এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৫২ হাজারে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ইউরোপের। ইতালিতে ২৬ হাজার ৬৪৪, স্পেনে ২৩ হাজার ১৯০, ফ্রান্সে ২২ হাজার ৮৫৬, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ৭৩২, বেলজিয়ামে ৭ হাজার ৯৪, জার্মানিতে ৫ হাজার ৯৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় স্পেন ও ইতালিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৩২। তবে এশিয়ায় ৫ হাজার ৬৫০ মৃত্যু নিয়ে চীনের উপরে রয়েছে ইরান। তুরস্কে মারা গেছে ২ হাজার ৮০৫ জন। এদিকে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন ও ইরানের উপরে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ১৩০ জন। এন এইচ, ২৭ এপ্রিল
https://ift.tt/2y48HnX
0 Comments